জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক কমে গেল ২০%

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তিকে ‘বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “আমরা গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও একটি বড় সাফল্য।” তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে শুল্কহার আগে ৩৫ শতাংশ ছিল, তা কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই অর্জন প্রত্যাশার চেয়েও ভালো এবং দেশের স্বার্থে এক চমৎকার উদাহরণ।

তিনি আরও বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে আলোচক দল নিরলসভাবে কাজ করেছে। তারা শুল্ক ও অশুল্ক বাধাসহ জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট নানা জটিল ইস্যু দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।” এই সাফল্য কৌশলগত নৈপুণ্যের এক উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকারের সুযোগ আরও বিস্তৃত হলো। এই চুক্তি বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা বজায় রাখার পাশাপাশি দেশের মৌলিক জাতীয় স্বার্থকেও সুরক্ষা দিয়েছে।

প্রফেসর ইউনূস মনে করেন, “এই অর্জন শুধু বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থানকে দৃঢ় করছে না, বরং আরও বড় সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করছে। এই চুক্তি দ্রুততর প্রবৃদ্ধি ও টেকসই সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই কূটনৈতিক সাফল্য জাতির দৃঢ়তা এবং ভবিষ্যতের প্রতি সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। এটি আমাদের অর্থনৈতিক দিগন্ত আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।”

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে পণ্যের ওপর শুল্কহার কমানো হয়েছে। ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের জন্য মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মতামত দিন